আগামী জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এল শিক্ষা বোর্ডগুলো। নতুন পরিকল্পনা হলো আগামী আগস্টে এই পরীক্ষা শুরু করা হবে। তারই আলোকে নির্বাচনী পরীক্ষাও এক মাস পিছিয়ে ৩০ মে থেকে শুরু হচ্ছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আগামী জুলাইয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করার পর তা নিয়ে আপত্তি ওঠে। কারণ সেটি হলে পরীক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক ক্লাস শুরুর পর এক বছর তিন মাসেই (১৫ মাস) এ পরীক্ষায় বসতে হতো। অথচ উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাবর্ষ দুই বছরের।
এ কারণে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকেরা বলে আসছিলেন, তাড়াহুড়া করে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনায় শিক্ষার্থীরা পড়ার চাপে পড়ছেন। এতে শিখন ঘাটতি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আবার জুলাইয়ে পরীক্ষা হলেও এসব শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাইয়ে। ফলে দীর্ঘ সময়জুড়ে তাঁদের কোচিং করতে হবে। যার খরচের বোঝা পড়বে অভিভাবকদের ঘাড়ে। তাই প্রশ্ন ওঠে উচ্চশিক্ষার ভর্তির সঙ্গে সমন্বয় না করে শুধু এইচএসসি পরীক্ষা আগে আগে নিয়ে কী লাভ?
এ নিয়ে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর হওয়ার পর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে শিক্ষা বোর্ডগুলো। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের পাশাপাশি তাঁরাও জানতে পেরেছেন কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠ্যসূচি শেষ করতে পারেনি।
এসব বিবেচনায় জুলাইয়ের পরিবর্তে আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে আগস্টে পরীক্ষা নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্তের বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে জানানো হয়েছে। এখন শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষা শুরুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা প্রায় দেড় বছর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সশরীর ক্লাস বন্ধ ছিল। সে কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে এলোমেলো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হতো ফেব্রুয়ারির শুরুতে। আর এইচএসসি পরীক্ষা হতো এপ্রিলের শুরুতে।
গত বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয়েছিল গত বছরের ২ মার্চ থেকে। এসব শিক্ষার্থীই এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসবেন। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্রের ধরন হবে আগের মতোই। করোনার সময় যেমন বেশি প্রশ্নপত্র থেকে কম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল, এবার সেই সুবিধা নেই। মানে পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস হলেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হবে স্বাভাবিক সময়ের মতোই।
You may also like
-
কেন শিল্পশিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ
-
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষার উত্সাহ: ১২৫৬টি স্কুলে ৭৬,৭৯৫টি কম্পিউটার
-
মহারাষ্ট্রে আর্থিকভাবে দুর্বল, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাদপদ এবং অনান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর মেয়েদের জন্য উচ্চশিক্ষা বিনামূল্যে
-
অস্ট্রেলিয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি দ্বিগুণ করল
-
অনলাইন শিক্ষা এবং জেনারেটিভ এআই: ভার্চুয়াল এআই টিউটরদের যুগে আপনাকে স্বাগতম