ঢাকার কদমতলীর হুমায়ুন কবির টিটু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ মামুন শেখকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১০–এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এনায়েত কবীর সোয়েব জানান, মামুন বিভিন্ন এলাকায় জাহাজমিস্ত্রি হিসেবে আত্মগোপনে ছিলেন। এই পেশার আড়ালে তিনি মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় দুটি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে।
র্যাব বলছে, প্রায় এক যুগ আগে ২০১০ সালের কদমতলীর আউটার সার্কুলার সড়কে নোয়াখালী পট্টিতে হুমায়ুন কবির টিটুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই মামলার ২ নম্বর আসামি মামুন। হত্যার পর মামুন গ্রেপ্তার হন। ২০১৪ সালে তিনি জামিনে মুক্ত হন। মাদক ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে আবারও একটি হত্যার সঙ্গে জড়ান তিনি। এদিকে হুমায়ুন কবির টিটু হত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বের আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামুনকে যাজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন আদালত। রায় প্রকাশের পর মামুন আত্মগোপনে চলে যান।
এদিকে গত জানুয়ারির শেষের দিকে টিটু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরেক আসামি সোহাগ ওরফে বড় সোহাগকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই সময় র্যাব জানিয়েছিল, এই হত্যা মামলার রায়ের পর পাঁচ হাজার টাকার চুক্তিতে ফুফাতো ভাই হোসেনকে সোহাগ সাজিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রকৃত সোহাগ দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। দেশ ছেড়ে পালাতে বাবার নাম পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেন। সেই অনুযায়ী তৈরি করেন পাসপোর্ট। তিন মাসের ভিসাও নিয়েছিলেন তিনি। বিদেশ যেতে কোভিড-১৯–এর টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন প্রকৃত সোহাগ।