তামিল শিশু সাহিত্যে আরও জাদুর প্রয়োজন: লেখক ইউমা বাসুকির মতামত

তানভির জন্মদিন এবং তার বাবা-মা তার পাশে বসে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তারা জানে না যে তাদের সাথে আরো অনেকে আছে – একটি চড়ুই, একটি সিংহ, একটি হাতির বাচ্চা, একটি কুকুরছানা এবং একটি রংধনু, সবাই মিলে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে। এই হৃদয়গ্রাহী ছোটগল্পটিতে প্রচুর জাদু আছে এবং একই সাথে এটি হারিয়ে যাওয়া বন এবং পরিবর্তিত প্রাকৃতিক দৃশ্যের দিকেও আলোকপাত করে।

এই গল্পটি একটি তামিল শিশুদের জন্য গল্প সংগ্রহের অংশ, যার নাম “তানভির জন্মদিন”। এটি “বুকস ফর চিলড্রেন” এর একটি প্রকাশনা, যা “ভারতী পুথকালায়ম” থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং লেখক ইউমা বাসুকিকে ২০২৪ সালের জন্য বাল সাহিত্য পুরস্কার জিতিয়েছে। এই পুরস্কারটি সাহিত্যে লেখকের দ্বিতীয় পুরস্কার; এর আগে তিনি ২০১৭ সালে মালয়ালাম লেখক ওভি বিজয়ানের “খাসাক্কিন্টে ইতিহাসাম” এর অনুবাদের জন্য সাহিত্যে আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

ইউমা বাসুকি বলেন, “শিশু সাহিত্যে জাদুর গুরুত্ব অপরিসীম। জাদু কেবল কল্পনা উস্কে দেয় না, এটি শিশুদের মনোজগৎকে সমৃদ্ধ করে। শিশুদের বইগুলোতে আমরা দেখতে পাই রূপকথা, পাখি, পশু এবং রংধনুর মতো জাদুর উপাদানগুলো। এগুলো শিশুদের কল্পনা শক্তিকে উজ্জীবিত করে এবং তাদের স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করে।”

বাসুকি আরও বলেন, “আমাদের বর্তমান যুগে, যেখানে প্রযুক্তি এবং ডিভাইসগুলি শিশুদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, সেখানে বই পড়া এবং কল্পনার জগতে ভ্রমণ করার অভ্যাস রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ের মাধ্যমে শিশুদের প্রকৃতি, পশুপাখি এবং রূপকথার জগতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।”

লেখক ইউমা বাসুকি তামিল সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার কাজগুলি শিশুদের মধ্যে কল্পনার বিকাশ ঘটায় এবং একই সাথে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তাদের সামনে তুলে ধরে। তানভির জন্মদিনের মতো গল্পগুলি শিশুদের পরিবেশ সচেতনতা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার গুরুত্ব বোঝায়।

“তানভির জন্মদিন” বইটি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য একটি আনন্দময় পাঠ্য নয়, এটি একটি শিক্ষামূলক পাঠ্যও বটে। এর মাধ্যমে শিশুদের প্রকৃতির সৌন্দর্য, জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব এবং পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষিত করা যায়। ইউমা বাসুকির লেখাগুলি এই কারণে শিশুদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়।

ইউমা বাসুকি আশা করেন যে ভবিষ্যতে তামিল শিশু সাহিত্যে আরও বেশি জাদুর উপস্থিতি থাকবে। তিনি বলেন, “শিশুদের জন্য গল্প লেখা একটি মহান কাজ। এর মাধ্যমে আমরা তাদের কল্পনা, জ্ঞান এবং সচেতনতার জগতে নিয়ে যেতে পারি। আমি আশা করি যে আরও অনেক লেখক শিশু সাহিত্যে অবদান রাখবেন এবং শিশুদের জন্য আরও বেশি জাদুময় গল্প লিখবেন।”