বাংলাদেশের বনভূমি দ্রুত ক্ষয়িষ্ণু হওয়ায় সরকার জাতীয় বন তালিকা প্রণয়ন শুরু করেছে

দখলে নেওয়া ২৭,০০০ হেক্টর বনভূমি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে সরকার

অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে ২৫৭,০০০ হেক্টর বনভূমি

বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় বন তালিকা (NFI) প্রণয়ন এমন এক সময়ে আসে যখন দেশটি তার বনভূমি হারাচ্ছে তুলনামূলকভাবে দ্রুত গতিতে, যা তা পুনরুদ্ধার করতে পারছে না।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রথম এই ধরনের প্রণয়ন শুরু হওয়ার সাত বছরেরও বেশি সময় পর, সরকার রবিবার ২য় NFI চালু করেছে।

বর্তমান সংসদ অধিবেশনে প্রদত্ত সরকারি ডেটা দেখায় যে, গত কয়েক বছরে সরকার কেবল ২৭,০০০ হেক্টর দখলে নেওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে, যেখানে ২৫৭,০০০ হেক্টর বনভূমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে।

বিশ্ব ব্যাংক, যা বাংলাদেশের ২৫ কোটি টাকার ২য় NFI অর্থায়ন করছে, বলে যে বাংলাদেশের মোট বন এলাকা ২০২১ সালে ১৮,৮৩৪ বর্গ কিলোমিটারে হ্রাস পেয়েছে, যা ২০০৬ সালে ১৯,০০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি ছিল।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এই মাসের শুরুতে জাতীয় সংসদে বলেছেন যে, দেশে ২.৩ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি রয়েছে, যা বাংলাদেশের ভূমির এলাকার ১৫.৫৮ শতাংশ। আদর্শভাবে, একটি দেশের জীবতাত্ত্বিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কমপক্ষে ২৫% বন আচ্ছাদন থাকা উচিত।

রবিবার শহরে ২য় NFI উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়, সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন: “আমরা জানি যে আমাদের বন ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে, এবং আমরা এটি পুনরুদ্ধার করতে পারছি না। তাই আমরা আমাদের বনভূমি সংরক্ষণের জন্য একটি জাতীয় তালিকা প্রণয়ন করছি।”

বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-সানুসি বলেন: “বাংলাদেশের বন এলাকা সংরক্ষণ এবং প্রসারিত করা জরুরি।”

এই নতুন জাতীয় বন তালিকার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের বনভূমির বর্তমান অবস্থা, বৈচিত্র্য, এবং কার্বন সঞ্চয়ক্ষমতা নির্ধারণ করা। এটি বন সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের কৌশল নির্ধারণে সাহায্য করবে, যা বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখবে।