শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ বর্ষ অভিযান: উন্নতি এবং গবেষণায় প্রগতি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ বছর উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নের একটি নতুন দিন। এই দিনে প্রাকৃতিক বাতাসে উপভোগ করছেন সিলেটের মানুষ, কারণ তাদের মধ্যে এক বৃহত্তর উৎসব উদযাপনের সময়। এটি যে বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সৃষ্টি হয়, এবং গর্বের ৩৩তম বার্ষিকী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌঁছেছে, এবং এখন প্রযুক্তি এবং গবেষণার ক্ষেত্রে সেরা অবস্থানে অবস্থিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস খুঁজে বের করা যায়, যেখানে পূর্ব-উত্তরাঞ্চলে লোকেরা দীর্ঘ ৭০ বছরের অবস্থানের পরে বিজয়ী হয়েছে এবং হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর নিরপেক্ষ অবদানে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দিকে সঙ্গতি স্থাপন করেছেন। ১৯৮৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ঘোষণার পরে, ৩২০ একর জমির ওপর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের কুমারগাঁওয়ে স্থাপিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থানে প্রথম বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক এবং ২০৫ জন শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানিকভাবে আরম্ভ হয়েছিল এবং এখন বিভিন্ন শিক্ষা অনুষদে ২৮টি বিভাগে প্রায় ৫,০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ড. আহমেদ, এবং বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেনের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কাজ চলছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’ সৃষ্টি করা হয়, যা গবেষণা ও প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপলব্ধ করে। সাথেই সঙ্গে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের প্রযুক্তি উন্নতির জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে, যেমন যানবাহন ট্র্যাকিং ডিভাইস, চালকবিহীন বিমান, সামাজিক রোবট এবং বুদ্ধিমত্তা সহজে বৃদ্ধি করার উদ্ভাবন। এছাড়াও, কয়েকটি প্রযুক্তি বাংলায় উন্নত করা হয়েছে, যেমন তাৎক্ষণিক সার্টিফিকেট যাচাই পদ্ধতি এবং টার্ন-ইট-ইন পদ্ধতি গবেষণায় নকল যাচাই করার জন্য। এই প্রযুক্তিগুলির ব্যবহার মানুষের জীবনকে সহজ ও সুবিধাজনক করেছে।

সাথেই সঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের প্রযুক্তি উন্নতির জন্য কাজ করা হয়েছে এবং তাদের অবদান সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ করা হয়েছে। যেমন, করোনা পরিস্থিতিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের করোনা শনাক্তরণ ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যা এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যকে উন্নত করেছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা ও প্রযুক্তির অভিযানের মাধ্যমে দেশের উন্নত ও বিশেষ অগ্রগতি সম্পন্ন হচ্ছে, এবং এটি দেশের মানুষের জীবনে একটি প্রভাবশালী পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।